ছোট্ট কাল থেকে আমাদের শিখে আসা সবক গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো “মানুষ সামাজিক জীব”।এই বাক্যটি ছোট হলেও এর গহীনে লুকিয়ে আছে মানব জাতির সারকথা। যদি মানুষ স্বয়ংসম্পৃর্ণ হয়ে পৃথক ভাবে বসবাস করতে পারতো তাহলে হয়তো সামাজিক সমস্যা নামক শব্দটির উদ্ভব হতো না। সামাজিক সমস্যা এই শব্দটা এতো সহজে উচ্চারণ করা গেলেও এর সমাধান মোটেও সহজ বিষয় নয়। মূলত আমাদের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে যেসকল ভিন্ন ভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয় সেগুলো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে “সামাজিক সমস্যার” অন্তর্গত বিষয় ।
সামাজিক সমস্যার প্রকৃতি
সামাজিক সমস্যা বলতে মূলত সেসব সমস্যাকে বোঝায় যেসকল সমস্যার উদ্ভব সমাজে ঘটে এবং এই সকল সমস্যার ফলে সমাজস্থ মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হয়। এক কথায় বলতে গেলে যেসব সমস্যার ফলে সমাজের শান্তি – শৃঙ্খলা নষ্ট হয় তা -ই সামাজিক সমস্যা।
সামাজিক সমস্যার পরিধি: সামাজিক সমস্যার পরিধি মূলত সমাজের গন্ডির মধ্যে। অর্থ্যাৎ সমাজ ই হলো সামাজিক সমস্যা উদ্ভব এর লীলাভূমি।
বর্তমান সামাজিক সমস্যা সমূহ: আমাদের সমাজে অনেক সমস্যাই বিদ্যমান। তবে নিম্নে প্রধান প্রধান কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হলো:
১.যৌতুক প্রথা: যৌতুক প্রথা একটা ভয়ংকর সামাজিক সমস্যা। এর প্রভাবে শুধু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিই নয় বরং তার সম্পূর্ণ পরিবারই ধ্বংস হয়ে যায়।
২.ইভ-টিজিং: সমাজের নারীদের জীবন বিষিয়ে দেওয়ার জন্য এই একটা অপরাধ যথেষ্ট। যদি সঠিক সময়ে এই অপরাধ দমন করা না যায় তাহলে এর কালো থাবা থেকে সমাজের কোনো স্তরের নারীই আর রেহাই পাবে না। এই ইভটিজিংয়ের আধুনিক ভার্সন হলো ফেসবুকের ইনবক্সে জ্বালাতন। জ্বি ! ইভটিজিং এই সমাজে এতো ভয়ানক পর্যায়ে চলে গেছে।
৩.এসিড নিক্ষেপ : এসিড নিক্ষেপ এর ফলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। যদি ভিকটিম ভাগ্যক্রমে বেচেঁও যায় তবুও তাকে শারীরিকভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব। শুধু তাই নয় এই জঘন্য অপরাধের দরুন জনমনে সৃষ্টি হয় আতঙ্ক । মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনে ছন্দ পতন ঘটে।
৪.প্রতারণা: বর্তমান সমাজের অন্যতম আলোচিত বিষয় হলো “প্রতারণা “।মানুষ এখন অনলাইনে – অফলাইনে উভয় ক্ষেত্রেই প্রতারিত হচ্ছেন। সামান্য জামা-কাপড় ক্রয় করা থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যবসায়ীক চুক্তির ক্ষেত্রে ও চলছে প্রতারনা। এই ফাঁদে নারী-পুরুষ সবাই পড়তে পারে। এই সকল প্রতারনার দরুন মানুষের মানুষের প্রতি বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সামাজিক সম্পর্ক।
৫.চাঁদাবাজি,টেন্ডারবাজি: চাঁদাবাজদের ভয়ে সমাজস্থ মানুষেরা আকন্ঠ আতঙ্কে ডুবে থাকেন।আর টেন্ডারবাজির উছিলায় কোয়ালিটি সার্ভিস পাওয়া দূর্লভ হয়ে গেছে।পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে উপযুক্ত দামে উপযুক্ত কাজ পাওয়া প্রায় অসম্ভব।অন্যদিকে সৎ ব্যবসায়ীদের চাঁদাবাজদের আমোদ-প্রমোদের টাকা জোগাতে জোগাতে প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখাই দায়। যদি না এই ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয় তবে অচিরেই আমাদের এক দুর্বিষহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে।
৬. চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই: এই সমস্যাটা অনেক পুরোনো একটা সমস্যা। তারপরও বর্তমান সময়েও এই সকল সমস্যা গুলো সমাজে বিদ্যমান।এই সমস্যা গুলোকে যতোই সাধারণ মনে হোক না কেন এই অপরাধগুলোর কারনে সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ অস্থিরতায় ভোগে এবং তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যহত হয়।
৭.বেকারত্ব : “বেকারত্ব ” এই শব্দটা বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে একটা দু:স্বপ্নের মতো।এর অভিশাপ তাদের কর্মক্ষমতাকে হ্রাস করে দেয় এবং গোটা জাতিকে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত করে। অথচ যুবকেরাই হলো একটা দেশের প্রধান চালিকা শক্তি ।যদি চালিকা শক্তি র একটা বড় অংশই অক্ষম হয়ে থাকে তাহলে সেই দেশ ও জাতি যে অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
৮.ঘুষ: এই ঘুষ এমন একটা প্রথা বা সিস্টেম যা একটা ৫ মিনিটের কাজকে ৫ বছরের জন্য আটকে রাখতে পারে।এই প্রথা শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে নয় বরং জাতীয় জীবনকেও স্থবির করে দেয়।শুধু চাকরি বা প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রেই নয়।বরং সর্ব ক্ষেত্রেই এই ঘৃণ্য প্রথার প্রচলন দেখা যায়। তাই বর্তমানে আমাদের সমাজের কোনো সেক্টরের কাজই আর সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদন হচ্ছে না। তাই সর্বত্রই বিরাজ করছে অস্থিরতা।
৯.স্বজনপ্রীতি: এই অনিয়ম এর ফলে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে পছন্দমাফিক লোক নিয়োগ দেওয়া হয়। যার ফলে যোগ্য ব্যক্তিকে তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হয় এবং অযোগ্য ব্যক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়। এতে একদিকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ পদ অযোগ্য ব্যাক্তির দখলে চলে যায়। ফলে সংশ্লিষ্ট মহলের কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় না। অন্য দিকে যোগ্য ব্যক্তির মেধার সঠিক মূল্যায়ন হয় না।
১০ . খাদ্যে ভেজাল: খাদ্যের মধ্যে ভেজাল মেশানোর ফলে খাদ্যের পুষ্টিমান নষ্ট হয়ে যায় এবং অনেক সময় বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়ে ভোক্তার প্রানহানি ঘটতে পারে। তাছাড়া ও এই বিষাক্ত খাদ্য গ্রহণে সরাসরি মৃত্যু না হলেও মানুষ মরন ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে। যা অনেক কষ্টসাধ্য। যদি এই রুপ চলতেই থাকে তাহলে গোটা জাতির ভবিষ্যত অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যাবে। কারন অসুস্থ মাতা-পিতা থেকে যে সন্তান আসবে তার মানসিক কিংবা শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আর এমনিভাবেই গোটা জাতি ধীরে ধীরে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। তাই সময় থাকতেই উচিত হবে এই অসাধু ব্যবসা বন্ধ করার ব্যাপারে সচেতন হওয়া।
১১ .গুজব/মিথ্যা তথ্য প্রচার : বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে সুযোগ সুবিধা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ও সৃষ্টি হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো গুজব রটানো। এই সমস্যা টা পূর্বেও ছিলো। তবে বর্তমানে ফেসবুক ইউটিউবের কল্যানে এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা সহজ হয়ে গেছে।
১২.সাইবার ক্রাইম : অনলাইনের জগতে এই বিশৃঙ্খলার প্রভাব মানুষের বাস্তব জীবনেও পরছে। এর ফলে আত্মহননের মতো ঘটনা ঘটছে। সাইবার ক্রাইম বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তবে সর্ব প্রকারের ক্রাইমই মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।
১৩.অপহরন: কাউকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়াই হলো অপহরন। অপহরণ এর কারনে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়।
১৪.ধর্ষণ : অন্যতম জঘন্য অপরাধ। এই অপরাধের জন্য নারীরা নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারে না। তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়।এবং তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
১৫.যৌন হয়রানি: এই অভিশাপের কবল থেকে কোনো শ্রেণির নারীই নিরাপদ নয়। কি বাচ্চা, কি বুড়ি, কি যুবতী কেউই এর থেকে মুক্তি পায় না।
১৬.প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্য : সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অন্যতম আরেকটি কারন হলো এই “প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্য “। বিষয়টি অনেকটা জোর যার মুল্লুক তার এই ধরনের।যার হাতে পয়সা বা ক্ষমতা আছে তার সব কিছুই করার ক্ষমতা আছে। সামাজিক বা সাংবিধানিক কোনো আইন ই তার জন্য প্রযোজ্য নয়। সে তার ইচ্ছে মতো অন্যায় অবিচার জুলুম করতে পারবে কিন্তু প্রশাসন তার কিছুই করতে পারবে না। এইরূপ সমস্যার কারনে সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন ভয়ে থাকে এবং তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়।
১৭.হত্যা: “মানুষ হত্যা মহা পাপ” এটা ধর্মীয় নীতি বাক্য। কিন্তু বর্তমান সমাজে স্বার্থের খাতিরে মানুষ ধর্মীয় আচার আচরণ ভুলতে বসেছে। তারা নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে মানুষ হত্যার মতো জঘন্য বিষয়টাকে ক্রমাগত ঘটিয়ে চলেছে।
১৮.দূর্নীতি : সমাজের শিরায় -উপশিরায় এই দূর্নীতি ছড়িয়ে রয়েছে। এর বিষাক্ত কবল থেকে সমাজকে রক্ষা করতে না পারলে ভবিষ্যতে দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
১৯.দরিদ্রতা : দূর্নীতির জালে আবদ্ধ এই সমাজের খুব সাধারণ একটা সমস্যা হলো দরিদ্রতা। এই দরিদ্রতা সমস্যাটা হাল্কা মনে হলেও এর ব্যাপকতা বিশাল। এর কবলে পরে নিম্নবিত্ত পরিবারের লোকেদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। উপরে আলোচিত সমস্যা গুলো ছাড়াও আমাদের সমাজে আরো অনেক প্রকারের সমস্যা বিদ্যমান। যার বর্ণনা করতে গেলে হয়তো একটি বিশ্বকোষ লেখা হয়ে যাবে।
সামাজিক সমস্যা সমাধানের উপায়: ঘুনে ধরা সমাজকে সুস্থ্য করে তোলা কোনো ছেলে খেলা নয়।এই জন্য প্রয়োজন হবে শক্ত প্রশাসনিক কাঠামো, আইনের যথাযথ প্রয়োগ, ধর্মীয় অনুশাসন,টেকসই সামাজিক কাঠামো এবং জন সচেতনতার।
নিচে এই বিষয়গুলো নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা করা হলো:
শক্ত প্রশাসনিক কাঠামো :
শক্ত প্রশাসনিক কাঠামো বলতে সহজ কথায় সমাজের প্রত্যেকটা স্তরকে কঠোরভাবে মনিটরিং করা সহজ হবে যে আদলে প্রশাসনিক স্তরগুলোকে সাজালে , সে কাঠামোকে বলা হয় শক্ত প্রশাসনিক কাঠামো ।শক্ত প্রশাসনিক কাঠামো যদি বাস্তবায়ন করা হয় তবে দূর্নীতি প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্য, স্বজনপ্রীতি সহ আরো বিভিন্ন কঠিন কঠিন সামাজিক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
সর্বত্র আইনের যথাযথ প্রয়োগ : সমাজের সর্বস্তরে যথাযথ আইনের প্রয়োগ করতে হবে। কে ধনী,কে গরিব এই নজরে কোনো ফয়সালা করা যাবে না।আইন অনুযায়ী যে দোষী সাব্যস্ত হবে বিচার সে মোতাবেকই হবে। এই রুপ আইনের প্রয়োগ সর্বত্র করতে হবে। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে আইনের যথাযথ প্রয়োগ যদি সম্ভব না হয় তবে কখনোই সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়া বন্ধ হবে না। বন্ধ হবে না অনাচার। কেননা সৃষ্টির শুরু থেকেই আইন সৃষ্টি হয়েছিলো সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ।
ধর্মীয় অনুশাসন : “ধর্ম ” এমন একটি বিশ্বাস যার ফলে মানুষ অন্যায় অপরাধ করতে পারে না। তার নীতি -নৈতিকতা মানুষকে বাধা দেয় অপকর্ম হতে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটাই সত্য যে আমাদের সমাজ হতে এই ধর্মীয় মূল্যবোধ ধীরে ধীরে উঠে যাচ্ছে। মানুষ হারিয়ে ফেলছে তার এই মূল্যবোধ। জড়িয়ে পরছে নানাবিধ অপকর্মে এবং ধ্বংস করে ফেলছে সমাজ ব্যবস্থা। তাই সমাজকে নতুন আঙ্গিকে সাজাতে মৃত প্রায় সমাজে আবার নতুনভাবে প্রান সঞ্চার করতে ধর্মীয় অনুশাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
টেকসই সামাজিক কাঠামো :বর্তমান সমাজকে আইসিইউ থেকে বের করে সুস্থ স্বাভাবিক করার জন্য এই সামাজিক কাঠামোটা পরিবর্তনের প্রয়োজন। এই অসুস্থ সমাজের শিরায় – উপশিরায় ধরছে পচন।তাই এর থেকে মুক্তির জন্য অবশ্যই এই সমাজের কাঠামোটাকে ঢেলে সাজানো এখন সময়ের দাবি।
জন সচেতনতা : জনগন ” অনেক বড় শক্তি। জনগনের সম্মিলিত শক্তি অনেক বড় একটা ব্যাপার। এই সামাজিক সমস্যার সমাধানে প্রত্যেকে যদি সচেতন হয়ে যায় তাহলে তা সমূলে উৎপাটন করা সহজ হবে। # চেইন সিস্টেমে সমাধান : সামাজিক সমস্যা সমূহ একটি আরেকটির সাথে সম্পর্কিত। যেমন: দুর্নীতি। চাকরির ক্ষেত্রে দূর্নীতির কারনে যোগ্য প্রার্থীরা তাদের নিশ্চিত কর্মক্ষেত্র থেকে বঞ্চিত হয়।ফলে তারা বেকারত্বের অভিশাপের কবলে আটকা পরে যায়।কিন্তু জীবন তো চালাতেই হয়।তাই তারা একটা পর্যায়ে গিয়ে বাধ্য হয়ে “চুরি, “ডাকাতি, “ছিনতাই ” এই ধরনের আরো ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি করে বসে। তাই সমস্যাটা যেমন চেইন সিস্টেম এ শুরু হয়েছে, তেমনই সেই সেইম চেইন সিস্টেম অবলম্বন করেই সামাজিক সমস্যা গুলো সমাধান করতে হবে।এখানে যেমন “দূর্নীতি ” থেকে সকল সমস্যার শুরু হয়েছে, তেমনি যদি দূর্নীতি দমন করা সম্ভব হয় তাহলে অন্যান্য সমস্যা গুলোও ধীরে ধীরে লোপ পাবে।
সাজেশন :
সামাজিক সমস্যা রোধে ব্যাক্তি পর্যায়ে পালনীয় কিছু সাজেশন নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
১.শিশুদের ছোট থেকেই সঠিক ধর্মীয় অনুশাসন এবং সামাজিক মূল্যবোধের দীক্ষা দিয়েই গড়ে তুলতে হবে ।
২.নিজ অবস্থান থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে।
৩. সমাজে কাউকে বিশৃঙ্খলা করতে দেখলে তাদেরকে প্রথমে সতর্ক করতে হবে এবং তার পরবর্তিতে সংশোধিত না হলে তাদেরকে সামাজিক ভাবে এক ঘরে করে রাখতে হবে।
৪.অন্যায় বা পাপ কাজের প্রতি জনমনে ঘৃনা সৃষ্টি করতে হবে।
ইতিকথা সমাজ সৃষ্টির শুরু থেকেই সমস্যা ছিলো , সমস্যা আছে।কিন্তু তাই বলে হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। পরিকল্পনা মাফিক আমাদের কাজ চালিয়ে যেতেই হবে যাতে সামাজিক সমস্যা বন্ধ করা যায়। কারন দিন শেষে আমাদের সমাজই আমাদের বাসস্থান। যদি বাসস্থানই আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় তাহলে আমাদের জীবন কখনো সুস্থ -স্বাভাবিক হতে পারে না।
[…] কাছে দুঃস্বপ্নের মতো আর তাই সবসময় এই সমস্যা থেকে সবাই দূরে থাকতে চায়। খুব সাধারণ […]